মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আঞ্চলিক ছাত্রসংগঠন ময়মনসিংহ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর ময়নামতি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সহ-সভাপতি তানভীর আহমেদ খান ও খন্দকার নাঈমা আক্তার নুনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সরকার কুমিল্লার উপপরিচালক এবং উপসচিব মোঃ শওকত ওসমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক, আলীমুল রাজি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আলম, নুভিস্তা ফার্মা লিঃ এর আর এস এম মাজহারুল ইসলামসহ কুমিল্লায় কর্মরত ময়মনসিংহের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। এরপর উপস্থিত অতিথিরা নিজেদের বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনার পিতা-মাতা কি করে সেটা বড় না, আপনাদের দায়িত্ব আছে সেই অবস্থান থেকে নিজেকে উন্নত করার। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়েন তাদের বিনয়ী হতে হয়, উদার হতে হয়। এই জায়গায় এসে আমাদের মুক্তবুদ্ধির অনুশীলন চলে। শিক্ষকদের সম্মান করবেন, নেতা হতে যাবেন না, আপনার কাজের মধ্যেই নেতৃত্ব প্রকাশ পাবে। শুধু ময়মনসিংহ নয়, এর আশেপাশের কিছু জেলার মানুষদের একত্র করে এই বন্ধন আরও শক্তিশালী করার আহ্বান করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি যে মত দেই তা সবসময়ই সঠিক হবে এমন নয়। নিজের দক্ষতা আর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। পড়াশোনা, এক্সট্রা কারিকুলার, যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী বাড়ান। বিদায় মানেই চলে যাওয়া নয়, এখন থেকে আপনারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মানসিক ভাবে যুক্ত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সবসময়ই তত্ত্ব পড়েন। কিন্তু তা বাস্তবে কীভাবে প্রয়োগ করবেন কিভাবে সেটাও শিখতে হবে। এভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তবতার সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির দক্ষতা বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা মানেই পড়াশোনা শেষ নয়। আমাদের সারাজীবনই শিখতে হবে। আমার লক্ষ্য থাকবে আপনাদের সহযোগিতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল গান, কবিতা আবৃত্তি, পালাগান, নাচ, র্যাম্প-শো ও নাটক নিয়ে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সময় জার্নাল/এলআর